ফিরিয়ে দাও ছোট্টবেলা মাটির ছোট্ট ঘর,
সেই কথাটি মনে হলে কান্দে যে অন্তর।
রৌয়াবিলের কান্দাতে ওই হিজল গাছের সারি,
সকাল সাঁঝে রাখাল ছেলে বাজাইতো বাঁশরী।
দাদী আমায় ঘুম পাড়াতো খাইতো বসে পান,
মাথায় রঙিন গামছা বেঁধে গাইতো দাদা গান।
নাচতো দাদা জারিগানে ঘুঙুর, পায়ের পর
দাদী আমায় খাইতে দিতো গাইয়ের দুধের সর।
ঝিলের জলে চিতল মাছ মায়ের হাতে ভাজি,
মটরশাকের কথা বড়ই পড়ছে মনে আজি।
নদীর ধারে কাশের বনে ধূ-ধূ বালুচর,
পালকি চড়ে নতুন বধূ যাইতো স্বামীর ঘর।
আম কুড়াতাম সবাই মিলে কালবোশেখের ঝড়ে,
পুতুল খেলার স্মৃতি আমার আজো মনে পড়ে।
লেখক: সামিউল ইসলাম
0 মন্তব্যসমূহ