ছোট্টবেলা মধুর স্মৃতি আজকে আমি হাতড়ে যাই,
বৃষ্টিভেজা ভরদুপুরের সেই হাসিটা হাসতে চাই।
লুকোচুরি খেলার ছলে মটরশুটি পাটক্ষেতে,
ধুলোমাখা গাঁয়ের পথে আবার ফিরে চাই যেতে।
বেদের বহর সাপের খেলা দেখতে বড় ইচ্ছে হয়,
ছোট্টবেলার কান্নাগুলো মায়ের স্নেহ মধুময়।
গাঁও রাখালের সেই বাঁশিটা বাজে গহীন অন্তরে,
কিন্তুু কোথায় রাখালবাঁশি আর বাজে না মন্থরে।
দাদির হাতে পানের বাটা কোথায় আছে কাঠের পিঁড়ি?
শাপলাফোটা মনপুকুরে ভাঙা দেখি ঘাটের সিঁড়ি।
শিউলি তলে ভোরের বেলা স্বপ্নে বসে ফুল কুড়াই,
দখল নিলো মস্ত দালান ফুলভরা সে গাছটি নাই।
ছোট্টবেলার তেঁতুলগাছে আজো আমি চড়তে পারি,
স্মৃতির পাতায় চেয়ে দেখি দাঁড়িয়ে আছে ইটের সারি।
সন্ধ্যেবেলা তুলসিতলায় প্রদীপজ্বলা মায়ের হাত,
ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি কেঁদে ভাসি অনেক রাত।
হারিয়ে গেলো স্বর্ণালী দিন শেষ বিকেলে মালা গাঁথি,
ঝরে গেছে শিউলি বকুল সেই ঝরা ফুল আমার সাথী।
লেখক: সামিউল ইসলাম
0 মন্তব্যসমূহ